একজনকে চুড়ান্ত করা হবে ৩০ এপ্রিল। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার লটারীর আয়োজন করা হবে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে।
নিরপেক্ষভাবে লটারী করতে গঠন করা হয়েছে প্রতি ইউনিয়নে সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি। প্রয়োজনে এসব চাষীদের অগ্রিম ঋনের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন হোসেন খান জানান, সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে প্রকৃত চাষীদের কাছ থেকে বোরোধান সংগ্রহ করবে। সে মোতাবেক মণিরামপুর উপজেলায় বোরো সংগ্রহ করা হবে চার হাজার এক মে:টন। উপজেলায় মোট চাষীদের তালিকা রয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার। এর মধ্যে দরিদ্র চাষীদের
অগ্রাধিকার দেয়ার বিধান রয়েছে।
কিন্তু আমন মৌসুমে প্রকৃত চাষীদের তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনকে
বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে
হয়। ফলে এবার বোরো সংগ্রহে উপজেলা প্রশাসন বেশ সজাগ হয়ে
কর্মতৎপরতা শুরু করেছেন। আর এ
জন্য নেয়া হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ। এ উপলক্ষে রোববার
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বোরো
সংগ্রহ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ
শরিফী। কমিটির সদস্য সচিব খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন হোসেন খানের
পরিচালনায় অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহামুদুল
হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তি বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আকতার, কৃষি
কর্মকর্তা হীরক কুমার তরফদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. আবুজার
সিদ্দিকী. সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জমাান
মুন্না, উপজেলা ইন্সট্রাক্টর মকবুল
হোসেন প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় লটারীর মাধ্যমে চার হাজার এক জন চাষীর
কাছ থেকে এক মে:টন করে মোট চার হাজার এক মে:টন ক্রয় করার। ৩০ এপ্রিল প্রকৃত চাষীদের তালিকা
থেকে লটারীর মাধ্যমে চুড়ান্ত তালিকা প্রনয়ন করা হবে। সে ক্ষেত্রে চাষীদের অগ্রিম বাবদ এক মে:টন ধানের মূল্য ২৬ হাজার টাকা ঋন দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ লটারী স্বচ্ছ করতে বিশেষ কিমিটি গঠন করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে কমিটির প্রধান থাকবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সরাকরি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, গন্যমান্য একজন ও প্রেসক্লাবের একজন সাংবাদিক সদস্য। এ কমিটি লটারীর মাধ্যমে চুড়ান্ত তালিকা প্রনয়নের পর বোরো ক্রয় করা শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, প্রয়োজনে বিশেষ কমিটির পরিধি আরো বৃদ্ধি করা হবে।