September 25, 2023, 11:18 pm

বিজ্ঞপ্তি:
সর্বশেষ আপডেট জানতে চোখ রাখুন (www.bdvoice.news) বিডি ভয়েসে। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ  করুন-01715653114 "ধন্যবাদ"
সংবাদ শিরোনাম :

banner728x90

১ লা বৈশাখ বাঙ্গালীর বর্ষবরন এর ইতিহাস, সেকাল একাল এবং ইসলামিক বক্তব্য

১ লা বৈশাখ বাঙ্গালীর বর্ষবরন এর ইতিহাস, সেকাল একাল এবং ইসলামিক বক্তব্য

ইতিহাসঃ ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।[১]

সেকালের উদ্ যাপনঃ আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।[১]

একালের উদ্ যাপনঃ আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।[৪]পরবর্তীকালে ১৯৬৭ সনের পূর্বে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি। পরবর্তীতে ভারতীয় সংস্কৃতি এর নতুন রুপে ধরা দেয় পয়লা বৈশাখ।
কিছু সংস্কৃতি মনা, ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন, মুক্ত মনা মানুষরা আমাদের ধর্মীয় বানী তোয়াক্কা না করে নব্য আবিষ্কৃত পয়লা বৈশাখ শুরু করেছে।

আসুন এবার দেখে নেই এ ব্যপারে ইসলাম কি বলেঃ একজন মানুষ যখন পৃথিবীর বিশাল ভূখন্ডের কোনো এক অংশে জন্মলাভ করে, সেখানকার আলো-বাতাস গ্রহণ করে, সেখানে বেড়ে ওঠে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার মাটি-মানুষের প্রতি অন্যরকম হৃদ্যতা ও আপনত্ব অনুভব করে। জন্মভূমির প্রতি মানুষের এই স্বভাবজাত আকর্ষণকে ইসলাম মূল্যায়ন করেছে।স্বয়ং মহানবী (সা.) এর মাঝেই তাঁর জন্মভূমি মক্কার প্রতি ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।

পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘‘ভূখন্ড হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিতো তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র বসবাস করতাম না।’’ (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৯২৬)
তবে মক্কা নগরী কেবল রাসূলের জন্মভূমি ছিল বলেই তাকে ভালোবেসেছেন তা নয়,বরং এর আরেকটি বড় কারণ হলো এটি একটি পবিত্র ভূখন্ড,যেখানে আল্লাহর ঘর প্রতিষ্ঠিত।
ইসলামে এ দেশপ্রেম কেবল জন্মভূমির প্রতিই নয়;আবাসভূমির প্রতিও সমান থাকতে হবে।যেমন:

এক হাদীসে হযরত আনাস রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, দূর থেকে মদীনার জনপদ নজরে আসতেই তিনি তাঁর উটনীর গতি বাড়িয়ে দিতেন, অথবা কোনো চতুষ্পদ জন্তুর উপর থাকলে তাকে নাড়াতে থাকতেন। বস্ত্তত মদীনার প্রতি ভালবাসার দরুনই তিনি এমনটি করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮০২)
আরেক হাদীসে হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি খেদমতের নিয়তে রাসূলের সাথে খায়বার অভিযানে গেলাম। অতঃপর যখন অভিযান শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন, উহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হল তিনি বললেন, এই পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও একে ভালবাসি। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৮৮৯)
মোটকথা, স্বদেশের প্রতি মানবমনের এই স্বভাবজাত অনুরাগকে ইসলাম সমর্থন করে। কিন্তু এই দেশপ্রেম যদি সীমা অতিক্রম করে আত্মঅহমিকা কিংবা আত্মকেন্দ্রিকতার জন্ম দেয়, অথবা যদি মানুষকে অন্ধত্ব ও উগ্রতার দিকে নিয়ে যায় এবং আল্লাহর সৃষ্টি অন্য কোনো দেশ বা ভূখন্ডের বিরুদ্ধে অন্যায় বিদ্বেষের জন্ম দেয়, তাহলে ইসলাম কখনোই তা সমর্থন করে না।তাই ইসলামে দেশপ্রেমের সীমাও নির্ধারিত।দেশপ্রেমের অজুহাতে যেসব কর্মকান্ড ইসলাম নিষেধ করে নিম্নে তার কয়েকটি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো।
১।দেশপ্রেমকে কারো সম্মান-মর্যাদার মানদন্ড গণ্য করা যাবেনা।কেননা ইসলামের কাছে মর্যাদার মানদন্ড হচ্ছে তাকওয়া ও খোদাভীতি। এই তাকওয়ার গুণে যে ভূষিত হবে সেই সম্মান-মর্যাদার অধিক উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। চাই সে কোনো অখ্যাত দেশের বাসিন্দাই হোক না কেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান সে যে আল্লাহকে সর্বাধিক ভয় করে। –(সূরা হুজুরাত, আয়াত : ১৩)
রাসূল (সা.), আমার নিকটবর্তী লোক তো তারাই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা যেমনই হোক, যেখানেই থাকুক। –(মুসনাদে আহমদ ৫/২৩৫)
২।নিজ দেশ ও অন্যদেশের মুসলিমদের মাঝে কোনরুপ পার্থক্য করা যাবেনা।নিজ দেশের মুসলিমরা যেমন আপন,অন্যদেশের মুসলিমদের তেমনি আপন মনে করতে হবে।নিজ দেশের মুসলিমরা যেমন অধিকার ভোগ করে,অন্য দেশের মুসলিমরা এলে তেমনি অধিকার দিতে হবে।অন্য দেশের মুসলিমকে নিজদেশের অমুসলিমের ওপর অগ্রাধিকার দেয়া যাবেনা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। –(সুরা হুজুরাত, আয়াত:১০)
রাসুল (সা.) বলেছেন, মু’মিনদের একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি, দয়া ও মায়া-মমতার উদাহরণ (একটি) দেহের মত। যখন দেহের কোন অঙ্গ পীড়িত হয়, তখন তার জন্য সারা দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।’’ (বুখারী-৬০১১ ও মুসলিম-২৫৮৬ এবং রিয়াদুস সলিহীন-২২৯)
রাসুল (সা.) আরো বলেছেন, হে লোকসকল! জেনে রেখো তোমাদের প্রতিপালক একজন, তোমাদের পিতা একজন। জেনে রেখো, অনারবের উপর আরবের, আরবের উপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সাদার উপর কালোর, কালোর উপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তবে তাকওয়ার ভিত্তিতে একজন আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে পারবে। -(মুসনাদে আহমদ, ৫/৪১১)
৩।নিজদেশের বা অন্যদেশের মুসলিম বা অমুসলিম সকলের প্রতি ন্যায়বিচার করতে হবে।দেশপ্রেমের অজুহাতে কারো প্রতি অন্যায় করা যাবেনা।
আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে দৃঢ়পদ থাকো। কোনো জাতির প্রতি বিদ্বেষ যেনো তোমাদেরকে কিছুতেই ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়বিচার করো। এটাই তাকওয়া ও আল্লাহভীতির অধিক নিকটবর্তী। [সূরা মায়েদা : আয়াত ৮]
মক্কা বিজয়ের সময়কার ঘটনা। আরবের এক সম্ভ্রান্ত কবিলা বনু মাখজুমের এক নারী চুরি করে বসে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআনের বিধান অনুসারে হাত কাটার আদেশ দেন। সম্ভ্রান্ত বংশের মেয়ে বলে সবাই বিচলিত হন, প্রিয় নবীজির প্রিয়পাত্র হজরত উসামা ইবনে জায়েদকে গিয়ে ধরেন, তুমি একটু সুপারিশ করো। তিনি সুপারিশের বাণী মুখে আনতেই নবীজি ক্ষুব্ধ হলেন। বললেন : আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিধানের ক্ষেত্রে সুপারিশ করছ? তারপর সবার উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং বললেন : শোনো! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকরা এ কারণেই ধ্বংস হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্তজনরা চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর দুর্বল কেউ চুরি করলে তাকে শাস্তি দিত! খোদার কসম! যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতেমাও চুরি করত আমি তার হাত কেটে দিতাম। -[সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৮৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬৮৮]
হজরত ওমর রা.-এর শাসনামল। তার দরবারে মোকদ্দমা এসেছে। একজন মুসলমান অপরজন ইহুদি। হজরত ওমর ইহুদির পক্ষে রায় দিয়েছেন। -[তারগিব ওয়া তারহিব : ৩:৪৪৫]
৪।দেশপ্রেমের অজুহাতে কারো মূর্তি তৈরী,করবে বা প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ইত্যাদি শিরক কুফরমুলক কর্মকাণ্ড করা যাবেনা।
রাসুল (সা.) বলেন, প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।’ -(সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫০)
খলীফা ওমর (রাঃ)-এর সময় তাকে সংবাদ দেয়া হল যে, কতিপয় মানুষ ঐ বৃক্ষের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে যে বৃক্ষের নীচে ছাহাবীগণ নবী করীম (ছাঃ)-এর হাতে বায়‘আত করেছিলেন। অতঃপর তিনি [ওমর (রাঃ)] ঐ বৃক্ষকে কেটে ফেলার নির্দেশ দিলেন। -(ফাৎহুল বারী ৭/৪৪৮)।
৫।দেশপ্রেমের নামে শিরক কুফরমুলক গান রচনা,বাদ্যযন্ত্রসহ দেশাত্মবোধক গান-বাজনা করা যাবেনা।
আল্লাহ বলেন,নিশ্চয় শিরক হলো সবচেয়ে বড় জুলুম। -(সুরা লুকমান-১৪)
রাসুল (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের মধ্যে এমন ব্যক্তিদের আগমণ ঘটবে, যারা যিনা, রেশম, শরাব এবং বাদ্য-যন্ত্রকে হালাল মনে করবে। -[বুখারী শরীফ-৫৫৯০]
৬।দেশপ্রেমের অজহাতে, “আমার দেশই পৃথিবীর সেরা দেশ।আমার দেশের মাটি সোনা আর অন্যদেশের মাটি কেবলই মাটি।” এমন হিংসাত্মক ও অহংকার সুলভ কথা বা মনোভাব পোষণ করা যাবেনা।
আল্লাহ বলেন, এবং আশ্রয় চাই হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে”। (সূরা ফালাক : ৫)
রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা পরস্পরে বিদ্বেষ করো না, হিংসা করো না, ষড়যন্ত্র করো না ও সম্পর্ক ছিন্ন করো না। তোমরা পরস্পরে আল্লাহর বান্দা হিসাবে ভাই ভাই হয়ে যাও’। -[বুখারী-৬০৭৬]
রাসুল (সা.) বলেন, ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার অন্তরে কণা পরিমাণ অহংকার রয়েছে। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, লোকেরা চায় যে, তার পোষাক সুন্দর হৌক, তার জুতা জোড়া সুন্দর হৌক। জবাবে তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পসন্দ করেন। ‘অহংকার’ হ’ল ‘সত্যকে দম্ভের সাথে পরিত্যাগ করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা’। -[মুসলিম শরীফ-৯১]
মূলকথা হলো,ভূখন্ড তো মানবের সেবক, সৃষ্টিকর্তা নয়, ইলাহ ও উপাস্যও নয়। সৃষ্টিকর্তা তো আল্লাহ, ইলাহও একমাত্র তিনিই। বন্দেগী ও উপাসনার একমাত্র অধিকারী তিনি। চূড়ান্ত ভক্তি-ভালবাসা ইতাআত ও আনুগত্যও একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। অন্য সকল ভক্তি ও আনুগত্য তাঁরই বিধানের অধীন।মানবের ভূখন্ড তো মানবের চেয়ে বড় নয়, ভ্রাতৃত্বের সম্প্রীতি ও আদর্শের চেয়েও বড় নয়।তাই দেশের প্রতি প্রেম দেখাতে গিয়ে ইসলামী বিধান বহির্ভুত কোন কাজ করা যাবেনা।সবসময়ের জন্য দেশের চেয়ে দীনকেই বড় করে দেখতে হবে।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,দেশপ্রেমের নামে যা করা ইসলামে বৈধ নয় আমরা সেগুলোই করে চলছি।অনেকে আবার “দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ” মর্মে একটি জাল হাদিসও বানিয়ে ফেলেছি।

তাই আসুন আমরা অতি উৎসাহিত হয়ে যেন বড় কোন শিরক না করে ফেলি।

রচনা ও তথ্য সংগ্রহঃ
ডাঃ মোঃ নাঈমূর রহমান রনি।

আপনার মতামত এখানে লিখুন




banner728x90

banner728x90




banner728x90

© বিডি ভয়েস নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY Next Tech
Translate »
error: Content is protected !!