May 18, 2022, 4:05 am
মো: মহসীন মাতুব্বর আমতলী প্রতিনিধি।।
পবিত্র ঈদুল ফিতর আর মাত্র চার দিন বাকী। শিশু, নারী-পুরম্নষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সবচেয়ে কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্ত্মানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদপন্য কিনে নিচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত্ম চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভীড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত্ম টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে কাজ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাক তৈরি বেশি হচ্ছে বলে দাবী করেন টেইলার্স মোঃ জাফর মিয়া। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ বাজার অনেক জমজমাট।
জানাগেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততই বাজারমুখী হচ্ছে। বিত্তরানদের ঈদের বাজার শেষ হলেও পিছিয়ে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো। তাদের আগমনে ঈদ বাজার জমজমাট। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্ত্মানী পোশাকের চাহিদা বেশী। পাকিস্ত্মানী দিনহামিদ প্রকারভেদে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমতলীতে পাকিস্ত্মানী দিনহামিদ মানেই ঈদ আনন্দ। নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বাসুদেব নাথ ও বাবুল মিয়া বলেন, পাকিস্ত্মানী দিনহামিদ ও পোশাক, ইন্ডিয়ান গঙ্গা, ও ভিপুল থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী বাজার ঘুরে দেখাগেছে, পাকিস্ত্মানী দিনহামিদ- ৮ হাজার পাচ’শ, লং ফ্রোক ভিওলেট-১২ হাজার, তাওয়াক্কাল-৭ হাজার পাচ’শ, ইন্ডিয়ান গঙ্গা-৩ হাজার পাচ’শ থেকে ৮ হাজার, ভিপুল-৪ হাজার পাচ’শ থেকে ৭ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাড়ী কাশমিরী-৫ হাজার পাচ’শ থেকে ৮ হাজার পাচ’শ, ইন্ডিয়ান সিল্ক- ২ হাজার পাচ’শ থেকে ৬ হাজার পাচ’শ, জামদানী ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার ও ডিজিটাল প্রিন্ট সিল্ক -৮ হাজার পাচ’শ থেকে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দামী পোশাক বিক্রি অনেকটা কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা। এখন কম মুল্যের পোশাক বেশী বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ক্রেতা সিনথিয়া আক্তার বলেন, ৬ হাজার টাকায় পাকিস্ত্মানী দিনহামিদ একটি থ্রিপিস ক্রয় করেছি। দাম একটু বেশী হলেও পোশাকের মান ভালো। ইসরাত জাহান লিনা বলেন, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয় থেকে কেনাকাটা করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়।
নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সিরাজ উদ্দিন বস্ত্রালয়ের মালিক কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, পাকিস্ত্মানী ও ইন্ডিয়ান পোশাক বেশী বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রয় ভালো। আকন বস্ত্রালয়ের মালিক মোঃ কামাল আকন বলেন, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। দামও সাধ্যের মধ্যে থাকায় মানুষ সাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, মাসফি চয়েজ ও অন্যনা ফ্যাসন ঘুরে দেখা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরম্নষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে। এ সকল বিপণি বিতানগুলোতে পাকিস্ত্মানী পোশাক, দিন হামিদ, লং ফ্রোক ভিওলেট, তাওয়াক্কাল, ইন্ডিয়ান ও ভিপুল বেশী বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহামন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত্ম কেনাকাটা করে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ী ফিরে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন স্পটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।