September 25, 2023, 11:20 pm
শ্রীলঙ্কার প্রবল অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল, সেখান থেকে এই ভয়ানক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেই দেশে। এ বার পাকিস্তানও কী সেই গর্তে পড়তে চলেছে। সম্প্রতি চিনের একাধিক সংস্থার দেওয়া হুমকির পর এমনই মনে করা হচ্ছে। কারণ চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের মাধ্যমে এই দুই দেশের মধ্যে একটা অর্থনৈতিক লেনদেনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই লেনদেনের সূত্র ধরেই নাকি বিপুল ঋণের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। আর চিনা সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেই দেনা শোধ করতে হবে দ্রুত, না হলে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে চিনা সংস্থাগুলি হাত তুলে নেবে। এই পরিস্থিতিতেই বিষয়টি সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছে।
চিনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ারর প্রোডিউসারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আশান ইকবালের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নাকি সংস্থা এই শর্ত দিয়েছে। বলেছেন, পাকিস্তানের ঘাড়ে ঋণ বাবদ ঝুলে থাকা মোট ৩ হাজার টাকা অবিলম্বে চিনকে ফেরত দিতে হবে। না হলে এই মাস থেকে সংস্থাগুলি কাজ বন্ধ করে দেবে। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের আওতায় চিনা সংস্থা শক্তি, যোগাযোগ, রেলওয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে। সেগুলি বন্ধ হয়ে গেলে তো পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে।
পাকিস্তানের সঙ্গে মিটিংয়ে মোট ২৫টি চিনা সংস্থা অংশ নিয়েছিল। সেখানেই সরাসরি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলা হয়, যদি সময়ের মধ্যে এই বকেয়া টাকা পাকিস্তান ফেরত দিতে না পারে, তা হলে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেবে চিনা সংস্থাগুলি। মনে করা হচ্ছে, চিনে করোনা সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার ফলে নতুন করে অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে চিন। এই সংস্থাগুলির ভাঁড়ারে টান পড়েছে। সেই কারণেই টাকা ফেরত চাইছে সে দেশ।