September 25, 2023, 11:19 pm
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
আল-নাহিয়ান খান জয় নামটি বললেই সমসাময়িক ছাত্ররাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট কিবং রাজনীতি সচেতন মানুষের মানসপটে ভেসে উঠবে সদা বিনয়ী, হাস্যজ্জ্বল,সদালাপী, সুদর্শন এক ছাত্রনেতার ছবি।যিনি ছাত্রলীগের একজন কর্মি থেকে নিজ মেধা, শ্রম ও যোগ্যতা গুনে আজ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি! বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পূর্বেও তিনি ছাত্রলীগের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রলীগের ঐতিহ্যবাহী সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের উপ-আইন সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সর্বোপরি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ইচ্ছায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং পরিশেষে সভাপতি। প্রত্যেক পদেই আসীন থাকাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।তিনি যখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান তখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় দল ও সরকারে শুদ্ধি অভিযান চলমান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চলমান। এমতাবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাকে অধিষ্ঠিত করেছেন তা সহজেই অনুমেয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক চলার পথে কখনোই তার পথ কুসুমাস্তীর্ণ কিংবা মসৃণ ছিলোনা। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে হাটিহাটি পা পা করে সকল ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যে প্রোপাগান্ডার জাল বিদীর্ণ করে তিনি আজকে আল-নাহিয়ান খান জয় হয়ে উঠেছেন। নৈতিকতা ও পারিবারিক শিক্ষায় বলিয়ান এই ছাত্রনেতা যেমনি বিনয়ী, মিষ্টিভাষি তেমনি মেধাবী ও বিচক্ষণ। তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র আজ নতুন কিছু নয়! ছাত্রলীগের ২৯ তম সম্মেলনের পূর্বে যখন সর্বমহলে তার সুনাম ছড়িয়ে পরলো,কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদপ্রাপ্তির সম্ভাবনা জোড়ালো হলো ঠিক সে সময়েই কিছু কুলাঙ্গার দুষ্কৃতীকারি(সংগঠনের ভেতরে এবং বাহিরের) তার বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব রটানো শুরু করলো।কিন্তু তারা হয়তো জানতো না যে,জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সব যোগ্য কর্মিদেরই খোঁজখবর রাখেন এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাইতো আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দেই সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি।অথচ সে সময়ের অপপ্রচারকারী অনেককেই দেখি এখন জয় ভাইয়ের গাড়ির পেছনে দৌড়াতে।তার সবচেয়ে বড় গুন তিনি ক্ষমা করে দিতে জানেন এবং প্রতিহিংসা পরায়ণ নয়।ছাত্রলীগে নিবেদিতপ্রাণ জয়ের বিগতদিনের আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা কি সে সম্পর্কেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক মহল ওয়াকিবহাল। দক্ষ এই সংগঠক ছাত্রলীগের দায়িত্ব প্রাপ্তির কিছুকাল পরেই শুরু হলো বৈশ্বিক মহামারী করোনা! সেই ভয়াবহ টালমাটাল সময়ে সবাই যখন গৃহকোণে আবদ্ব নিজ জীবন রক্ষায় ঠিক তখনই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রান কর্মিরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষরে পাশে থেকে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন নিজ জীবনের মায়া সাঙ্গ করে।এছাড়াও বিশৃঙ্খলাবাদী নানাবিধ সাংগঠনের রাষ্ট্র বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকেও নস্যাৎ করেছেন কঠোর হস্তে,সুকৌশলে।সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে নিয়েছেন নানান সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সব সময়েই সমন্বয় করে কাজ করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে।দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙ্গে অনেক ইউনিটের সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করেছেন, সম্মেলন করেছেন, সম্মেলন স্থলে কমিটি ঘোষনা করেছেন। যা সমসাময়িক সময়ে বিরল।এছাড়াও ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী যেমন বিপদে পরলে পাশে দাঁড়িয়েছেন তেমনি কেউ অপকর্মে জড়ালে শাস্তিও নিশ্চিত করেছেন। করোনা মাহামারী শেষ হতে না হতেই সিলেট,সুনামগঞ্জ সহ দেশের অনেক অঞ্চল ই বন্যা কবলিত হয়।হাজার হাজার মানুষ গৃহবন্দী, অনাহারে,অর্ধাহারে দিনযাপন করছে।রাস্তা ঘাট, বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।সেখানেও ছাত্রলীগ আলোকবর্তিকা হয়ে সবার আগে বন্যা দুর্গতদের প্রতি সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।নিজে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। ঠিক সর্বমহলে যখন ছাত্রলীগ প্রশংসা কুড়াচ্ছে,বাহাবা পাচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ভীষণ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে তখনি সংগঠনের ভিতরে বাহিরে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ দুই নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে।তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক নামধারী কিছু অপেশাদার চাঁদাবাজ কুলাঙ্গার দিয়ে মিথ্যে নিউজ করিয়ে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বোপরি সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।তারা কোন ধরনের সুস্পষ্ট অভিযোগ, প্রমাণ ব্যতিরেকেই মনগড়া তথ্য দিয়েই ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কমিটি প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলছে! যা অবান্তর ও অগ্রহণযোগ্য। সত্যিই যদি তাদের নিকট দুর্নীতি প্রমানের অকাট্য দলিল থাকে তবে তা প্রকাশ করুক নয়তো এই গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান করছি।অর্থ লেনদেনের অভিযোগের ব্যাপারে ইতিপূর্বেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্বনামধন্য সুযোগ্য সভাপতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন যে আপনারা অর্থের লেনদেনের বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবো,কিন্তু কই?কেউ তো চ্যালেঞ্জ গ্রহনের সৎ সাহস দেখালেন না!দেখাবেন কিভাবে! সৎ সাহস ও হিম্মত থাকতে হয় চ্যালেঞ্জ গ্রহনের জন্য। আপনাদের তা নেই।আপনারা কেবল তাকে অভিযোগ দিয়েই ক্ষ্যান্ত হোন নি।তার অনুজ নির্মোহ, নিরহংকারী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব Arman Khan Jubo ভাইকেও অভিযোগের তীরে বিদ্ধ করলেন! অথচ এই আরমান খান যুব ভাই কেমন মানুষ তা নিশ্চই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা এবং তার পরিচিতজনরা জানেন।আল নাহিয়ান খান জয় একজন সম্ভ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার পরিবারের বহুকাল থেকেই আর্থিক সচ্ছলতা ও সুখ্যাতি আছে।তাদের পারিবারিক শিক্ষা আছে।এজন্যই আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রাপ্তির পরে তার পিতা শ্রদ্ধেয় জনাব আব্দুল আলীম খান চাচা টি এস তি একবার জয় ভাইকে নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সততার সাথে পালন করবে। কখনোই অর্থ উপার্জনের চিন্তা করবেনা। আল্লাহ্ আমাকে যে সম্পাদ দিয়েছে তা দিয়েই অনায়াসেই তোমার,যুবর,ইনীনের জীবন চলে যাবে। জনাব আল নাহিয়ান খান জয় সেই পিতার সন্তান, যে সন্তানকে নীতি আদর্শের শিক্ষা দেয়।জনাব আল নাহিয়ান খান জয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে কিছুকাল পূর্বে এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ভাইয়ের উপস্থিতিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.ছাদেকুল আরেফিন স্যার বলেন,”শোন তোমরা ত অনেক কিছুই দেখোনি,আমি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। ছাত্রলীগে অনেকেই সভাপতি সম্পাদক হয়েছেন ভবিষ্যতেও হবেন,তবে জয়ে জয়ের মতো বিনয়ী মার্জিত ছাত্রনেতা কমই হয়”।কিছুদিন পূর্বে জয় ভাইয়ের প্রাক্তন স্কুল বরিশাল জিলা স্কুলের এক অনুষ্ঠানে জয় ভাই সম্পর্কে বলতে তার একজন শিক্ষাগুরু বলেন এই জিলা স্কুলে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকও পড়েছিলেন,জয়ও পড়াশোনা করেছে।জয় হলো শের ই বাংলা একে ফজলুল হকের ই উত্তরসূরি। এছাড়াও তার ব্যাপারে এরকম বহু জ্ঞানী গুনির প্রত্যক্ষ মন্তব্যের সাক্ষী আমি।এসবই তার কৃতকর্মের স্বীকৃতি। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে শুধু এতটুকুই বলতে চাই আপনারা যতোই ষড়যন্ত্র করবেন ছাত্রসমাজে আল নাহিয়ান খান জয় ততোই জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার কাছে হয়ে উঠবে বিশ্বস্ত।কবির ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়–